1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলে বন্যায় প্রাণহানি ৪০০ ছাড়াল

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৮০ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রবল বন্যায় দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলে প্রাণহানির সংখ্যা ৪শ ছাড়িয়েছে। বাস্তচ্যুত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

চলমান বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।

দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ পুসেলেতসো মোফোকেং বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পূর্বাঞ্চলীয় শহর কেজিএনের কিছু অংশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। ফলে ব্যাপক আকারে বন্যা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। পরিস্থিতি উত্তরণে কাজ করছেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধারকর্মীরা। দেখা দিয়েছে খাবার পানি ও খাবারের তীব্র সঙ্কট।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশে এ বন্যা শুরু হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। আজ শুক্রবার আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের প্রধান সিহলে জিকালালা বলেন, বন্যায় ৪০ হাজার ৭২৩ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

প্রাদেশিক প্রধান আরও বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আমরা নিশ্চিত করতে পারি। হিসাব এখনো চলছে। ক্ষয়ক্ষতি কয়েক বিলিয়ন র‌্যান্ড (দক্ষিণ আফ্রিকার মুদ্রা) ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই বন্যা এই প্রদেশ এবং সম্ভবত আমাদের দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন দুর্যোগ সৃষ্টি করেছে।’

সপ্তাহান্তে টানা বর্ষণ ও গত সোমবার অতি ভারী বর্ষণে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়, রাস্তাঘাট ও সেতু ধসে যায়। দেশটির অন্যতম ব্যস্ত বন্দরে পণ্য ওঠানামা বিঘ্নিত হয়। পণ্যবাহী কনটেইনার ভেসে যায় এবং কিছু এলাকায় সেগুলো লুটও হয়। পরে বুধবার ওই প্রদেশকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়।

ইসিফিঙ্গোর অস্থায়ী বসতির বাসিন্দা সোমি মালিজোল পানিতে ভেসে যাওয়া তাঁর ঝুপড়ি ঘরের জিনিসপত্র খুঁজছিলেন। তিনি বলেন, ‘খারাপ, খারাপ অবস্থা। আমাদের আর অবশিষ্ট কিছু নেই। এমনকি আমার ঘুমানোর জন্যও কিছু নেই।’

বন্যায় বিদ্যুৎসহ পৌর পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। ভেঙে যাওয়া পাইপ ও পানির ট্যাংক থেকে পরিষ্কার পানি সংগ্রহে বাসিন্দাদের গতকাল বৃহস্পতিবার হুড়োহুড়ি করতে দেখা গেছে। ভারী বর্ষণের বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক করা হয়নি জানিয়ে থাবিসিলে মাথুম্বু নামের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই। এভাবে বেঁচে থাকা কঠিন। আমাদের সতর্ক করে দেওয়া উচিত ছিল।’

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..